Blog List
রাজার অসুখ
রাজ্যে হুলুস্থুল বেঁধে গেল। ঢোলক ভায়া ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করলেন যে রাজা মশাইয়ের ভারি অসুখ, কিছুই খেতে পারেন না। যদি কেউ সারিয়ে তুলতে পারে তাহলে তাকে একশত স্বর্ণমুদ্রা দেওয়া হবে। রাজবৈদ্য, যিনি আশেপাশের সব রাজ্যের রাজবৈদ্যদের শিক্ষাগুরু, তিনিও হাল ছেড়েছেন..
গল্প আনার গল্প
গল্প আনার গল্প অঋণ সেন আজ থেকে অনেক অনেক বছর আগে, সে এক নাম না জানা দেশে আকাশের দেবতা নিয়ামে প্রথম মানুষকে তৈরী করেন...
তিন এক্কে তিন
বাবার দেওয়া দশটি টাকা মায়ের দেওয়া আট, আজকে দিনে আমি যেন একটা বড়লাট .....
টুবলুর পিগি ব্যাঙ্ক
অবাক কান্ড! যে টুবলু খাওয়া নিয়ে ঝামেলা করত সবসময়, সেই টুবলু মাঝে মাঝেই দৌড়ে এসে মাকে বলছে মা, মা আমাকে একটা বিস্কুট দাও। কখনো আবার একমুঠো মুড়ি চাইছে। টুবলুর মা মনীষা আন্টি খুব খুশি হয়েছে...
এক জোড়া ছড়া
'দেওয়ালিতে আকাশ জুড়ে আলোর রোশনাই, আজকে তবে কেন মা গো, চাঁদের দেখা নাই?' প্রশ্ন শুনে ছোট্ট খুকুর মায়ের মুখে হাসি,
বল দেখি মা
বল দেখি মা আমার কেন ঘুম পায় রোজ রাতে? ঠিক তখনি চাঁদের বুড়ি দাওয়ায় চরকা কাটে। রাতেই নাকি তারার দল খেলে বেড়ায় বনে, রাখব ধরে একটারে তার আমার ঘরের কোনে। আসে পরী, রাজপুত্তুর পক্ষীরাজের
গোপীর ছাতা
গোপী মাঝির বাঁশের ছাতা খোদ শ্বশুরের দেওয়া, বিয়ের সময় পণ হিসেবে বাড়তি কিছু পাওয়া। সেই ছাতাটি সঙ্গী গোপীর বউয়ের চেয়েও বেশি, রোদ বর্ষায় মাথা বাঁচায় এতেই গোপী খুশি। পথে-ঘাটে,
জয় জগন্নাথ
সুদর্শনের মিনতি শুনে চাহেন চক্ষু মেলে বলেন ধীরে, সুদর্শন ! যাইনি তোরে ভুলে
যুগান্তর ঠাম্মার জগন্নাথ দর্শন
আজ রথের দিন "যুগান্তর বুড়ি" এর কথা খুব মনে পড়ছে।
হিপ্ হিপ্ হুররে
“আরে, কোথায় গেলি রে। শিগ্গির এসে আগে শোবার ঘরের জানালা গুলো বন্ধ কর।
পাঙাশ ভূতের গপ্প
মাসটা যখন জুলাই তখন আকাশ তো মেঘে ঢাকা থাকবেই, আর বৃষ্টিও পড়বে বেশ জোরে। তবে শ্রাবণ মাসের মত অঝোর ধারায় না হলেও যখন পড়বে তখন পড়বে একেবারে ঝমঝম করে। কড়কড় করে বাজও পড়বে।
টুনি ও টুনটুনি
হঠাত্ই ফুড়ুত্ ফুড়ুত্ করে উড়তে উড়তে টুনটুনির বাচ্চাটা ঢুকে পড়েছিল টুনিদের বাগানে।
একটি ছুটির দিন
পেখম আজ বাড়িতে। স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস, তাই ছুটি। মা বাবা দুজনেই অফিস গেছে।
দশ মিনিটের গোয়েন্দাগিরি
‘একটা গোয়েন্দা গল্প তোমাকে বলতেই হবে দ্বিজুমামা—। নইলে তোমাকে আমরা ছাড়ছি না।’ পিন্টুর কথায় সমর্থন জানিয়ে বিল্টু, টিঙ্কু, মিতা, রীতা সকলে মিলে চেপে ধরল দ্বিজুমামাকে। পিন্টু-বিল্টুদ
পঙ্কজের নাম
পঙ্কজ এবার স্কুলে ভর্তি হবে। এই আড়াই বছর বয়স হয়ে গেল তো। ও খুব মিষ্টি ছেলে জানো! বাবা যা শেখাচ্ছেন সব শিখে নিচ্ছে। এ বি সি ডি, এক দুই তিন চার, ছড়া, সব।সব। মা-বাবা শহরের সব থেকে ভাল
বুবুনের বড় হওয়া
ছোট্ট বুবুন কিছুদিন হল প্রিস্কুল ছেড়ে নতুন বড় স্কুলে যেতে শুরু করেছে। সেদিন স্কুল থেকে ফিরেই সে ঘোষণা করল, “আজ টিচার অনেক কিছু লিখে নিয়ে যেতে বলেছেন!”
পাখিদের সংসার
'টুইট টুইট'...ছোট্ট নীল-গলা মা পাখি, পাতার উপর দিয়ে মুখ বাড়িয়ে দেখে নিল একবার চারদিকটা।
রাজকুমারী সিসপিয়া ও রাখালরাজা আরফিন
রাজকুমারী সিসপিয়ার মন ভালো নেই। কী করে থাকবে বলো! রাজকুমারীর প্রিয় হরিণ মৃগচম্পা মানে চিম্পুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিকেলবেলা রাজবাড়ির বাগানে সখীদের সাথে সিসপিয়া খেলা করছিলেন, চি
ভূতের উপদ্রব
তোমরা অনেকেই ভূতে ভয় পাও, ভাবো কিভাবে তাড়ানো যায় কিন্তু মনোজের বাবা সেটি ঠিকমতোই এই গল্পে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সে অনেক কাল আগের কথা। সে সময় মনোজদের বাড়িতে প্রচন্ড হই হট্টগোল হত
কেমন স্বপ্ন
রাতে ঘুম হচ্ছিল না আমার। ছাদের একটা কোনায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারাগুলোর মধ্যে একটা তারা দেখি, দপদপ করতে করতে ক্রমশ বড় হচ্ছে। ওটা যে আমার কাছেই আসছে। তারপর দেখি, ওরে বাবা, ওটা
চিড়িয়াখানায় যাওয়া
২০২২ সালের ১৫ ই মে আমি, মা এবং বাবার সাথে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম।
মূর্তি চুরি রহস্য
মাঘ মাসের দিন। সরস্বতী পুজো এল বলে, তাই ললিতা তার ঘর ভালোভাবে পরিষ্কার করছিল।
পুপুর গল্প আর টুপুর কেরামতি
সুন্দর এক রবিবারের সকালে পুপু জানালার ধারে বসে বসে এক মনে এক সারি পিঁপড়েকে লক্ষ্য করছিল, আর ভাবছিল কী করবে! এমন সময় তার মনে পড়ল যে তার স্কুলের ক্লাস টিচার তাকে স্কুলের পত্রিকার
পুরীতে দীপুদা
পুরীতে যাচ্ছে দীপুদা৷ তার আসল নাম হল দ্বৈপায়ন বসু৷ বিদ্যায় তিনি ভাষাবিদ, পেশায় গোয়েন্দা এবং নেশা সিগারেট ও ভ্রমণ। তাঁর ছোট্টবেলা থেকেই তিনি ফেলুদা ব্যোমকেশ বক্সীর অনুরাগী।
অধরা ইচ্ছে
সৌমিরা থাকে কলকাতা শহরে। কিন্তু তার কাছে, তার গ্রামের বাড়ি নিশ্চিন্তিপুরের সেই বাড়িটাই ভালো।
তিতির আর চড়াই পাখি
সেদিন খুব বৃষ্টি পড়ছিল। স্কুলে তাই রেইনি ডে'র ঘোষণা করে ছুটি হয়ে গেছে।
এটা কি ভৌতিক?
আমরা সবাই যে রকম নদীতে ঘুরতে যাই সেরকমই একদিন রসুলও নদীতে তার পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিল।
পদ্মনাভের ছেলে
অভ্যাস মত ঘুম ভেঙে যায় অনেক ভোরেই। ভালো করে আলো ফোটারও অনেক আগে। কিন্তু কিছুতেই চোখ খুলতে চায় না বলু।
শরৎ এলি? তাইতো!
শরৎ এলি, কই রে ? এই তো ঘাসে রই রে, শিশির ধোয়া নাকছাবি ফুল ফোটায় কেমন 'সই' রে!
বুলবুলি ও পাখিরা
এক গ্রামে থাকত একটি ছোট্ট মেয়ে। তাঁর নাম ছিল বুলবুলি৷ আসলে তাঁদের বাড়িতে ভোরবেলায় অনেক পাখি খাবার খেতে আসত।
পুজোর জামা
এবার পুজোয় রতনের একটা মাত্র জামা হয়েছে। রতনের স্কুলের দিদিমণি যখন জিজ্ঞেস করল, সবাই তিনটে চারটে করে জামার কথা বলল, বিনোদ বলল, পাঁচটা, রোহিত বলল, ন'টা।
টুকটুকির প্রার্থনা
কটকটি মেয়ে টুকটুকি কোমরে বাসন্তী রংয়ের শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে, গলায় একটা গাঁদাফুলের মালা পরে আপন মনে বকতে বকতে, ছুটতে ছুটতে নীলদের বাড়ি যাচ্ছিল।
পদ্মপুকুরে জ্যান্ত সরস্বতী পুজো
জীবনেও কোনোদিন ভাবিনি যে কখনও জ্যান্ত সরস্বতী পুজো দেখব।
দোদুল দোলের আবেশে
আজ সারাদিন কাজহারা দিন আয় ছড়াসই দু'জনে, খেলব রঙ আর মেলব ডানা প্রাণের কুহু-কুজনে।
গোঁফের আমি গোঁফের তুমি
বেজায় গরম। ভরদুপুরে গরম লু বইছে, শুনশান রাস্তায় একটা কুকুর পর্যন্ত নেই।
গাছ আমাদের বন্ধু
গাছ আমাদের বন্ধু, ওরা দেয় আমাদের কী কী, কৃতজ্ঞতায় সে সব কথাই ছড়ায় ছড়ায় লিখি। সুগন্ধি ফুল, সুমিষ্ট ফল, সবুজ প্রাণের মায়া, দরদর ঘাম খর রোদে দেয় শীতল স্নেহের ছায়া। বিষ বায়