Image-Description
Stories
মূর্তি চুরি রহস্য
Oct 4 2023 Posted by : montajpublishing

মাঘ মাসের দিন। সরস্বতী পুজো এল বলে, তাই ললিতা তার ঘর ভালোভাবে পরিষ্কার করছিল। এমন সময় দরজায় কারোর ধাক্কা দেওয়ার শব্দ শুনে ললিতা ছুটে এসে দরজা খুলে দেখল তার বান্ধবী বিশাখা, তার ছোটকাকিমাকে নিয়ে এসেছে। উত্তেজিত হয়ে ললিতা বলল,"কি রে কেমন আছিস? অনেক দিন পর দেখা হল, খবর কী?" বিশাখা বলল, "ভালো আছি আর খবর  বলতে একটা জরুরী বিষয় তোকে জানাতে এসেছি, চেষ্টা করে দেখ, পারিস কিনা"। ললিতা বলল, "বুঝলাম না, খুলে বল।" পাশ থেকে বিশাখার ছোট কাকিমা বলল,"বড় বিপদে পড়ে তোমার কাছে ছুটে এসেছি। আমাদের বাড়ি থেকে একটা গোপাল ঠাকুরের সোনার মূর্তি চুরি হয়ে গেছে। আগের কেসটার সমাধান তুমি যেভাবে করলে , তাই ভাবলাম তোমার কাছেই আসি।" ললিতা জিজ্ঞাসা করল , "কী সমস্যা?" কাকিমা বলতে লাগল, "শোনো তাহলে। তুমি তো জানোই প্রত্যেক বারের মতোই এবারেও নীলুদা, মানে তোমার ছোটো কাকার সহকর্মী ঠাকুর তৈরী করছে নিজ হাতে। কাল সে সারা রাত জেগে ঠাকুর বানাচ্ছিল। আর কাল রাতেই আমাদের ঘর থেকে মূর্তিটা চুরি হয়ে গেছে। আজ সকালে সিন্দুক খুলে দেখি মূর্তিটা আর নেই।" ললিতা জিজ্ঞাসা করল, "বাড়ির কাউকে সন্দেহ করছ?" কাকিমা বলল, "না, তবে নীলু ছাড়া কাল রাতে আর কেউ বোধহয় জেগেও ছিল না। তোমার ছোটো কাকার বিশ্বস্ত সহকর্মী নীলু। তাই তাকে সব কিছুই বলা হয়েছিল মূর্তির ব্যাপারে। হয়তো তারই সুযোগ নিয়ে সে..." কাকিমার কথা শেষ হওয়ার আগেই ললিতা জিজ্ঞাসা করল "প্রমাণ আছে কিছু?" কাকিমা বলল "না।" ললিতা একটু ভেবে বলল, "আচ্ছা কালই তাহলে আমি তোমাদের বাড়ি যাব এই কেসটার ব্যাপারে। দেখছি কী করা যায়।" কাকিমা বলল, "আজ তাহলে আসি। সন্ধ্যা হয়ে এল।" পরদিন সকাল ৯টা নাগাদ ললিতা তার বান্ধবীর বাড়ি হাজির হল। বাড়িতে ঢোকা মাত্রই তাকে বসার ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো। বিশাখার ছোট কাকা ললিতাকে বলল , "তুমি নিশ্চয়ই সবটা জানো।" ললিতা বলল "হ্যাঁ, ছোটো কাকিমা বলেছে। তুমি কি কাউকে সন্দেহ করছ কাকা?" কাকা উত্তরে বলল, "দেখ, নীলু আমার অনেক পুরনো বিশ্বস্ত সহকর্মী। তাকে আমি প্রায় সব কথাই বলি। আর কাল রাত জেগে সে ঠাকুর তৈরী করছিল। রাতে 
জেগে ছিল বলে সে-ই যে মূর্তিটা চুরি করেছে এটা আমি বিশ্বাস করি না। আর কাউকে আমি সন্দেহ করছি না। তবে বলে রাখি আমরা তিন ভাই। আমি ছোটো,বড়দা বিদেশে থাকে, আর মেজদা তো এই বাড়িতেই থাকে। আমাদের বাবা ওই গোপাল ঠাকুরের মূর্তিটা আমাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন, তাঁর একটা জরুরী কাজ আমি করে দিয়েছিলাম বলে। আমার মূর্তিটা পাওয়া নিয়ে কিন্তু মেজদা একদমই খুশি ছিল না, কেন জানি না, এখনো আমার ওপর তার কোনো কারণে রাগ আছে বলে আমার মনে হয়। বাবা মারা গেছেন প্রায় দুই মাস হল। যাক এটুকু বলার ছিল। এখন তুই কিছু খেয়ে নে। অনেকক্ষণ হল তুই এসেছিস।" ললিতা বলল,"হ্যাঁ, কাকা। তুমি যাও, আমি একবার নীলুদার সাথে কথা বলে দেখি কোনো ক্লু পাই কিনা।" নীলু তখন ঠাকুর দালানে এক মনে বসে ঠাকুরের ছবি আঁকছিল। ললিতাকে আস্তে দেখে জিজ্ঞাসা করল," কি হে ললিতা দিদি, কেমন আছ? তোমার বান্ধবী কোথায় গেল?" ললিতা উত্তরে বলল, "ও খেতে গেছে। আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন করছি।কাল রাতে তুমি তো জেগেছিলে, ছোটো কাকার ঘরের দিকে কাউকে যেতে দেখেছিলে?" নীলুদা উত্তরে বলল, "না দিদি, বাবু,কাল রাতে মহেশ ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কাউকেই ঘরে ঢ়ুকতে দেখি নি।" ললিতা প্রশ্ন করল,"মহেশ কে?" উত্তরে নীলু বলল,"ও তো ছোটো বাবুর চাকর।" এমন সময় কার একটা গলার আওয়াজ শোনা গেল, "ওরে নীলু আমার ওষুধের বাক্স টা রাখলি কোথায়?" নীলু বলল, "দেখছ দিদি, বাবু, কাল রাতে ঠাকুমা ঔষুধ খেতে ভুলে গেছিল। তাই আমাকে বলেছিল ঔষুধের বাক্স থেকে ওষুধটা তাকে দিতে। ঠাকুমার যে বদ অভ্যাস আছে, রাত দেড়টা পর্যন্ত জেগে থাকে। পা ভেঙে যাওয়ায় ঠাকুমা হাঁটতে পারে না। তাই কাল ঠাকুর করা বাকি রেখে ছুটে গেছিলাম ঠাকুমার ঘরে ওষুধ দিতে। আমি কাল ওষুধের বাক্সটা কোথায় রেখেছি ঠাকুমা খুঁজে পায়নি বোধহয়,তাই ডাকছে। আমি চললাম এখন।" ললিতা দুপুরে খাওয়ার পর ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছে আর ভাবছে, এমন সময় একটা বাচ্চার গলার শব্দ শুনতে পেল, 
"জোড়া জোড়া পা দুখানি,    ফিরিয়ে দেখো বীণাপানি,
বাহন তার হতেও পারে, 
খুঁজে পেলে রত্ন পাবে।"
ললিতা হাসতে হাসতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে দেখল বিশাখার ভাই একটা ছড়া বলতে বলতে দুয়ারে বসে খেলা করছে বন্দুক নিয়ে। ললিতা তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "বাহ! বেশ তো মুখস্থ। এই ছড়া এত ভালো করে তোমায় কে শিখিয়েছে?"
বিশাখার ভাই বলল, "আমার ছোটকাকা।" এমন সময় বিশাখার মেজোজেঠু, মানে, ছোট কাকার মেজদা ললিতাকে দেখতে পেয়ে গম্ভীর ভাবে বলল, "তুমি তো বিশাখার বন্ধু। এখানে এসেছ কী মতলবে? নতুন কিছু কেসের সন্ধান পেলে নাকি?"
ললিতা মনে মনে ভাবল জ্যেঠু তো সবই জানে, তাহলে এরকম কেন বলছে? উনিই আবার চুরি-টুরি করেন নি তো?" ললিতা তারপর বলল, "তাই হয়তো পেলাম। তা আপনি আবার চুরি করেন নি তো?" জেঠু রেগে বলল, "তোমার সাহস তো কম নয়! আমার বাড়িতে এসে আমাকে-ই বলছে চোর!" ললিতা হেসে বলল, "চোর কোথায় বললাম? আমি তো জিজ্ঞাসা করছিলাম মাত্র।" তারপর মহেশ কে ডেকে বলল, "দেখেছিস তুই? এ কেমন করে আমাকে বলছে! আচ্ছা, টুকাই কী করছে? বই পড়ছে না ফোন ঘাঁটছে দেখে আয় তো গিয়ে। আমি যাই, বাগানে একটু ঘুরে আসি।" টুকাই হল, ছোটো কাকার মেজদার বড় ছেলে। ললিতা শুনেছে ছোটবেলায় নাকি তারও চুরি করার বদ অভ্যাস ছিল। ললিতা ঘরে গেল। তার মাথায় যেন সব তালগোল পাকিয়ে গেল। সে মনে মনে ভাবতে লাগল হয়তো জেঠুই চুরিটা করেছে; ছোট কাকার কথা শুনে তো তাই মনে হচ্ছে। আবার সেদিন রাতে নীলুদা ছাড়া কেউ আর জেগে ও ছিল না। নীলুদা কাউকে ঘরে যেতেও দেখেনি। এর মধ্যে ললিতা বারবার বিশাখার ভাইয়ের ছড়াটা আওড়াতে লাগল।তারপর ছুটে গেল ঠাকুর ঘরের দিকে যেখানে সরস্বতী ঠাকুরের পিতলের একটা মূর্তি ছিল। ছোট কাকা তৈরী করিয়েছিলেন সেই মূর্তি; রোজ তার পূজো হয়। এমন সময় বিশাখার ভাই ললিতার কাছে ছুটে এসে বলল, "ললিতা দিদি, ললিতা দিদি, আমি সব জানি। জানতো, টুকাই দাদা কাল রাতে আমার ছোটকাকার ঘরে গিয়েছিল ফোন রিচার্জ করাতে, তখনই ও একটা মূর্তি চুরি করেছে।" ললিতা জিজ্ঞাসা করল," তাই বুঝি, তুমি ওকে চুরি করতে দেখেছ?" ছোট ভাই বলল, "না। তবে আমি জানি।আচ্ছা... আমার অস্ত্র বন্দুক, তোমার কী?" ললিতা উত্তরে বলল, "মগজাস্ত্র।" তারপর ললিতা, বিশাখার জেঠুর ঘরে গেল। তখন জেঠু বাগানে পায়চারি করছিল। সেই সুযোগে ললিতা তার ঘর সার্চ করছিল। কয়েকটা ঘুমের ওষুধ ছাড়া আর বিশেষ কিছু তার নজরে পড়েনি। তার মনে হল হতেও তো পারে; কাল রাতে ছোটকাকার দুধের সঙ্গে এই ওষুধ গুলোই মেশানো হয়েছিল যাতে মূর্তি চুরি করার সময় কাকা কোনো আওয়াজ না পায়। ঘুমের ওষুধ খেয়ে অঘোরে কাকা ঘুমিয়েছিল বলেই সে কিছু শুনতে পায়নি। ললিতা জানত যে, কাকার ঘুম অত গভীর নয়। তারপর হঠাৎ ললিতা নীলুদাকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করল,"আচ্ছা নীলুদা, সত্যি কথা বল তো, তুমি মূর্তি টা চুরি করেছ?" চুরির ব্যপারে নীলু শুনেছে বটে, তাই সে ভয় পেয়ে বলল,"রামো, রামো, আমি কেন চুরি করতে যাব? ছোটকাকার ক্ষতি কি আমি চাই?" ললিতা ভাবল কাল রাতে নীলুদা যখন ঠাকুমাকে ঔষুধ দিতে গিয়েছিল সেই সুযোগেই চোর চুরি করেছে। সে বলল, "আচ্ছা, বেশ। তুমি যাও এখন। আমি একবার ছোট কাকার কাছে যাই।" ললিতা ছোট কাকার ঘরে গিয়ে দেখল ছোটকাকা নেই, টুকাই ছোট কাকার সিন্দুক খুলে কী যেন করছে। ললিতা তাকে গিয়ে ডাকতেই চমকে উঠে টুকাই বলল,"কী ব্যাপার?" এরই মধ্যে ললিতা লক্ষ্য করল সিন্দুকে যেখানে সোনার মূর্তি থাকার কথা, সেখানে সোনালি রঙের দাগ লেগে আছে; এই রঙটাই জেঠুর হাতে লেগেছিল। এমন সময় টুকাই এর মনে হল, ললিতা সব জেনে গেছে। তাই, সে যেন আনন্দ সহকারে বলে উঠলো, "ছোট কাকার সোনার গোপাল মূর্তি আমি চুরি করেছি।" ললিতা একটু ভেবে বলল, "বেশ, তুমি যখন সবটাই নিজের মুখে স্বীকার করলে তখন বসার ঘরে গিয়ে অপেক্ষা করো। আমি সকলকে ডেকে বলছি।" টুকাই বসার ঘরে গেল। ললিতা বিশাখার ছোট ভাই কে ডেকে বলল, তুমি বাড়ির সকলকে বসার ঘরে আসতে বল। চোর ধরা পড়েছে।" ললিতা কিন্তু তখনও জানত যে টুকাই চুরি করেনি। না হলে এত সহজে সে স্বীকার করত না। ইতিমধ্যেই ললিতা তার পরিচিত চারজনকে নকল পুলিশ সাজিয়ে বিশাখার বাড়ির বসার ঘরে হাজির করাল। বাড়ির কেউ জানত না এঁরা নকল পুলিশ কারণ, তাঁরা আসল পুলিশের মতই পোশাক পরেছিলেন। ললিতা যখন দেখল সবাই বসার ঘরে উপস্থিত তখন বলল, "টুকাইদা মূর্তি  চুরি করেছে, সেটা সে নিজ মুখেই স্বীকার করেছে। তাই আমি পুলিশ নিয়ে এসেছি, টুকাইদাকে গ্ৰেফতার করাতে।" সবাই যখন অবাক হয়ে দেখছে তখন টুকাই-এর বাবা, মানে বিশাখার  মেজোজেঠু চিৎকার করে পুলিশদের কে উদ্দেশ্য করে বললেন, "আপনারা টুকাই কে ছেড়ে দেন। ও চুরি করেনি।" ললিতা বলল,"হ্যাঁ করেছে"। জ্যেঠু এবার রেগে বললেন, "না, গোয়েন্দার কোনো বুদ্ধিই তোমার মাথায় নেই। টুকাই চুরি করেনি। ললিতা চিৎকার করে বলল, "তাহলে কে করেছে চুরি?" জেঠু ভুলবশত: উত্তেজনায় বলে ফেললেন, "আমি...আমি চুরি করেছি।" ললিতা মুচকি হেসে বলল, "তাহলে আসল চোর নিজেই ধরা দিল। টুকাইদা কে ফাঁদে না ফেললে কি ধরা দিত?" ছোট কাকা বলল, "এসব হচ্ছে কী? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। কে চুরি করেছে?" ললিতা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলল, "জেঠু চুরি করেছে ওই মূর্তি।" টুকাই তখন চেঁচিয়ে বলল, "বাবার নামে কেন দোষ দিচ্ছিস? এই দেখ আমি মূর্তি চুরি করেছি।" তখন টুকাই তার নিজের পকেট থেকে সোনার মূর্তি বার করে সকলকে দেখাল। জেঠু বলল, "তুই এই মূর্তি কোথায় পেলি?বল, চুপ করে থাকিস না!" ললিতা বলল,"তুমি চুরি করোনি টুকাইদা, সত্যি কথা বল তুমি। জেঠুই চুরি করেছে; আর সেটা টুকাইদা জানতে পেরে, মূর্তি টা জ্যেঠু- র সিন্দুকে দেখতে পেয়ে তক্ষুনি সেটা সে সেখান থেকে নিয়ে আসে।" এমন সময় ছোট কাকা ঠাকুর দালানের দিকে ছুটে, ঘুরে এসে ব্যস্ত হয়ে বলল,"শেষ রক্ষা আর হল না। মূর্তিটা সত্যিই চুরি হয়ে গেছে।" ললিতা বলল, "ঠাকুরঘরে পিতলের তৈরী সরস্বতীর বেদের নীচে যে আসল সোনার গোপাল ঠাকুরের মূর্তিটা ছিল সেটা আমার কাছে আছে। এই দেখ।" ছোট কাকা তার হাতে সোনার মূর্তি দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করল, "তুমি কী করে জানলে মূর্তির রহস্য?" ললিতা উত্তরে বলল, "কাকা, তুমি বিশাখা-র ভাইকে যে ছড়াটা শিখিয়েছিলে ওই ছড়া থেকেই জানতে পেরেছি। 

'জোড়া জোড়া পা দুখানি' ― মানে হাঁসের জোড়া পায়ের কথা বলা হয়েছে, বীণাপানি মানে মা সরস্বতী, তাঁর বাহন তো হাঁস আর হাঁসের পায়ের নীচে যে বেদি ছিল ওইখানেই আমার মনে হয়েছিল যে এই মূর্তিটা সেখানে থাকতে পারে। আর তোমার সিন্দুকে যেটা ছিল সেটা তো রং করা সোনার মূর্তি। আমি লক্ষ্য করেছি, জেঠুর হাতে আর তোমার সিন্দুকে ওই একই সোনালী দাগ ছিল। আর তখনই আমি বুঝতে পারি জেঠুই চুরি করেছে। আমি বুঝতে পেরেছি, এটা জানতে পেরে টুকাইদা জেঠুকে বাঁচানোর জন্য আমায় মিথ্যে বলে।" ছোটো কাকা বললেন, "চমৎকার, আমি প্রথম থেকেই, মানে বাবা আমাকে মূর্তিটা দেওয়ার পরই সরস্বতী ঠাকুরের বেদীর নীচে ওটা লুকিয়ে রেখে দিয়েছিলাম আর নকল মূর্তিটা রং করিয়ে সিন্দুকে রেখেছিলাম। এই কথা আমি ছাড়া আর কেউ জানত না। আর নকল মূর্তিটাকে আসল মূর্তি ভেবে, সেটা চুরি হয়েছে জেনে তোমার ছোট কাকিমা আমাকে না জানিয়েই তোমাকে ঐ মূর্তিটা খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।" তারপর নীলুদা বলল, "আর কী! চোর যখন ধরাই পড়ল চিন্তা নেই। পুলিশের তাহলে এখানে থেকে আর লাভ নেই,ওরা..." কথার মাঝখানে ললিতা বলল, "ওরা আসল পুলিশ নয়, ওরা আমার লোক।যাকগে, আমার কাজ শেষ।আমায় বাড়ি ফিরতে হবে।" তখন টুকাই বলল, "ললিতা, তুই জানলি কী করে, বিশাখার ভাই এর ছড়ার মানে? কই , আমরা তো আগে শুনে কখনো বুঝতে পারিনি তো?" বিশাখার ভাই তখন এসে চেঁচিয়ে বলল ,"আমি জানি, মগজাস্ত্র! আমার এই বন্দুকের থেকেও যে বড় অস্ত্র।" ছোটো কাকা তখন বলল, "হ্যাঁ ঠিকই। মগজাস্ত্রই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তিশালী অস্ত্র।"

অনন্যা হালদার


Popular Books


Comments

  • RxOTrLNe

    SfAQBxEvlR

    Jan 29 2024
  • RxOTrLNe

    SfAQBxEvlR

    Jan 29 2024
  • RxOTrLNe

    SfAQBxEvlR

    Jan 29 2024
  • NckFAnvYKXdLpq

    MRmDfjCYu

    Feb 7 2024
  • NckFAnvYKXdLpq

    MRmDfjCYu

    Feb 7 2024
  • NckFAnvYKXdLpq

    MRmDfjCYu

    Feb 7 2024

Write a Comment